বৃহস্পতিবার, ২১ জুলাই, ২০১৬

খাই খাই কোর নাকো বসে যাও চেয়ারে। রান্নাটা কিরকম টের পাবে এবারে। রাঁধুনী সে রন্ধনে অতি পটিয়সী, হাতার বদলে তার হাতে আছে অসি। আহার ভোজনে যারা নয় তত দক্ষ, তাদেরও গেলাতে পারে ভক্ষ্য-অভক্ষ্য। কলমীর রস দেয়,দেয় চায়ে নুন, খেয়ে দেখো এ চায়ে আছে কত গুন। দুধ জ্বাল দিয়ে তাতে রসুন ফোড়ন, না খেলে যায় না বোঝা এ চীজ কেমন। পায়েসে আদা বাটা রেসিপি নতুন, খেলে তবে বুঝবে রাঁধুনীর গুণ, মুরগীর দুধ আর বাছুরের ডিম, খেতে বসে মাথাটা যে করে ঝিমঝিম। পেঁয়াজের রস আর হলুদের বাটা, বানায় পরোটা দেখি নেই তাতে আটা। কাঠাঁলের খোসা দিয়ে লঙ্কার বড়ি, লা-জবাব খাবার রে, আহা মরি মরি। বালি দিয়ে ডাল আর পাথরের ডালনা, পাঁচতারা হোটেলে খুঁজলেও পাবে না। আর কিছু দেব নাকি?শুনে বলি, “বাবারে! এবার রেহাই দে, দয়া কর আমারে।“ গুড়গুড়ি রাঁধুনীটা একেবারে শিশুরে, খাওয়াটা কেমন হল বোঝা যাবে ঢেঁকুরে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন